শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! অতীত ও চলমান জীবনের প্রতিচ্ছবি- মহান মে দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে গাছে গাছে জাম্বুরা ধরেছে লালমনিরহাট আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত! শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ অনুষ্ঠিত মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ ১নং মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে ঘুঘু পাখি!

লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে ঘুঘু পাখি!

লালমনিরহাটের এক সময়ের চির-চেনা ঘুঘু পাখি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। নিরাপদ আবাস ও খাদ্যের অভাব, নির্বিচারে পাখি নিধন, ফসলের জমিতে অধিকমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত ঘুঘু পাখি দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে। লালমনিরহাটের পথে-প্রান্তরে এখন আর সকাল-দুপুর ক্রউ-উ-উ-উ-উ বা গুউ-গুউ-গুউ-গুউ স্বরে ঘুঘু পাখির মিষ্টি মধুর ডাক শোনা যায় না।

 

সেই সাথে সচরাচর কৃষি জমি, খামার, ঝোপ-ঝাড়, বন-জঙ্গল ও গ্রামের গাছে গাছে ডালে ডালে ঘুঘু পাখির দেখা মিলত। অনেক শৌখিন মানুষ খাঁচায় আটকে ঘুঘু পাখি পুষতো। মূলত- ধানই ছিল ঘুঘু পাখির প্রধান খাদ্য। তাছাড়া ঘাস ও আগাছার বিচি, শস্যদানা, গাছের কুঁড়ি ও কচি পাতাও খায় এরা।

 

গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির ঘুঘু দেখা যায়। তার মধ্যে রাম ঘুঘু, মেঠে ঘুঘু, লাল ঘুঘু ও তিলি ঘুঘুই বেশি। স্ত্রী ঘুঘু সাধারণত বছরে একবার এক জোড়া ডিম পাড়ে। মাত্র ১২দিনে সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। এক সময়ে গ্রামের মাঠে মাঠে, গাছের ডালে ডালে ঘুঘু পাখির দেখা মিললেও এখন এ পাখির দেখা পাওয়াই দুরুহ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়িত শিকারীদের হাতে ধরা পড়া ও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে অত্যন্ত ভীতু ও লাজুক প্রকৃতির ঘুঘু পাখি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।

 

অতিক্রম লালমনিরহাটের আহবায়ক হেলাল হোসেন কবির, যুগ্ম আহবায়ক মুহিন রায় ও মাসুদ রানা রাশেদ বলেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মিশ্রিত খাবার খেয়ে পাখির সংখ্যা ও ডিম পাড়ার পরিমাণ কমে যাওয়া, ঝোপ-ঝাড় ও গাছপালা কেটে ফেলায় নিরাপদ আবাস স্থলের অভাব, নির্বিচারে শিকার করাসহ বিভিন্ন কারণে ঘুঘু পাখি বর্তমানে বিলুপ্ত হতে চলেছে।

 

এদিকে, ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বার্ড এন্ড লাইফ সোসাইটি নামক একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সংগঠনের সদস্যরা গাছে গাছে বাড়িতে বাড়িতে পাখির বাসার জন্য মাটির পাত্র বেঁধে দিয়েছে। দেখা গেছে, বিভিন্ন গাছে বাঁধা মাটির পাত্রে পাখি বাসা তৈরি করেছে।

 

উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী পাখি শিকার দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু আইন থাকলেও তার সঠিক প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন ঘুঘুসহ বিভিন্ন পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone